বীর মুক্তিযোদ্ধাদের পূর্ণাঙ্গ তথ্য সম্বলিত Management Information System (MIS) ডাটাবেইজ প্রস্তুত হওয়ার প্রেক্ষিতে এর ভিত্তিতে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানি ভাতা প্রদান সহ অন্যান্য কল্যাণমূলক কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে। উক্ত MIS এর ওয়েবলিংক mis.molwa.gov.bd এবং ইত:পূর্বে প্রদত্ত User ID & Password ব্যবহার পূর্বক উক্ত MIS এ প্রয়োজনীয় কার্যক্রম সম্পাদন করা যাবে। এ লক্ষ্যে নিম্নরূপ নির্দেশনা প্রদান করা হলো:
(ক) অক্টোবর ২০২০ থেকে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানি ভাতা’র টাকা MIS এ বর্ণিত তথ্যের ভিত্তিতে Government to Person (G2P) পদ্ধতিতে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে সরাসরি সংশ্লিষ্ট ভাতাভোগীর বাংক হিসাবে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে ক্রেডিট করা হবে;
(খ) উক্ত G2P পদ্ধতিতে সম্মানি ভাতা প্রদানের লক্ষ্যে MIS এর পে-রোল অপশন ব্যবহার করত: অনলাইনের মাধ্যমে ভাতাভোগীর তালিকা প্রতি মাসের ২৫ তারিখের মধ্যে মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করা প্রয়োজন। ময়মনসিংহ এবং বরিশাল বিভাগীয় শহর ব্যতীত অন্য ৬টি বিভাগীয় শহরের ভাতাভোগীদের পে-রোল সংশ্লিষ্ট উপ-পরিচালক, জেলা সমাজসেবা কার্যালয় কর্তৃক প্রস্তুত করত: জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করতে হবে। অন্যান্য সকল স্থানে উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা কর্তৃক পে-রোল প্রস্তুত করত: উপজেলা নির্বাহী অফিসারের মাধ্যমে মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করতে হবে। পে-রোল প্রেরণে বিলম্ব হলে সংশ্লিষ্ট সম্মানি ভাতা বিতরণে কালক্ষেপন হবে যা কাম্য নয়। পে-রোল প্রস্তুত সংক্রান্ত একটি ব্যবহার নির্দেশিকা উপরে উল্লিখিত ওয়েবসাইটে আপলোড করা হয়েছে, প্রয়োজনে যার সহায়তা গ্রহণ করা যেতে পারে;
(গ) G2P পদ্ধতিতে সম্মানি ভাতা’র টাকা সরাসরি ব্যাংক হিসাবে ক্রেডিট হবে এবং মোবাইলে SMS এর মাধ্যমে অবহিত করা হবে বিধায় পে-রোল প্রস্তুতকালে ভাতাভোগীর ব্যাংক এবং মোবাইল নম্বর সংক্রান্ত তথ্য সঠিকভাবে এন্ট্রি প্রদান করা হয়েছে কিনা তা পুনরায় যাচাই করা যেতে পারে;
(ঘ) মহানগর/উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাই কমিটি কর্তৃক প্রদত্ত “না মঞ্জুরকৃত আবেদনের তালিকা ও সিদ্ধান্ত” প্রতিবেদনে (‘গ’ তালিকা) যাদের নাম রয়েছে, পরবর্তী নির্দেশনা না আসা পর্যন্ত সম্মানি ভাতা’র পে-রোল প্রস্তুতের ক্ষেত্রে সূত্রোক্ত ২ এ বর্ণিত স্মারকের নির্দেশনা অনুসরণপূর্বক তাঁদের নাম বাদ দিতে হবে;
(ঙ) বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাষ্ট এর আওতাধীন শহিদ, খেতাবপ্রাপ্ত বা যুদ্ধাহত গেজেটধারী মুক্তিযোদ্ধা বা তাঁদের সুবিধাভোগীগণ "বীর মুক্তিযোদ্ধা সম্মানি ভাতা বিতরণ আদেশ ২০২০" অনুযায়ী এ সম্মানি ভাতা প্রাপ্য নয় বিধায় পে-রোল প্রস্তুতকালে উক্ত সুবিধাভোগীদের নাম বাদ দিতে হবে;
(চ) জাতীয় পরিচয়পত্র (NID) এর ভিত্তিতে জীবিত বীর মুক্তিযোদ্ধার নাম, ঠিকানা এবং জন্ম তারিখ বিবেচনা করা হবে বিধায় কোন বীর মুক্তিযোদ্ধার জন্ম তারিখসহ অন্যান্য তথ্য সংশোধনের প্রয়োজন হলে সংশ্লিষ্ট বীর মুক্তিযোদ্ধাকে আগামী ৩১ ডিসেম্বর ২০২০ এর মধ্যে NID এ প্রয়োজনীয় সংশোধন করার পরামর্শ প্রদান করা যেতে পারে;
(ছ) মৃত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের NID থাকলে তদানুযায়ী MIS এ সংশ্লিষ্ট বীর মুক্তিযোদ্ধার নাম-ঠিকানাসহ অন্যান্য তথ্যাদি সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাহী অফিসার বা জেলা প্রশাসক কর্তৃক এন্ট্রি/অনুমোদন প্রদান করতে হবে। একইভাবে, NID প্রচলনের পূর্বে মৃত্যুবরণকারী বীর মুক্তিযোদ্ধার ক্ষেত্রেও MIS এ যথাযথভাবে নাম ও ঠিকানা সংক্রান্ত তথ্য সন্নিবেশ করতে হবে;
(জ) NID না থাকা বিদেশে স্থায়ীভাবে বসবাসকারী এরূপ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের পাসপোর্টের তথ্যাদি MIS এ এন্ট্রি প্রদানের লক্ষ্যে উক্ত মুক্তিযোদ্ধার তথ্যাদিসহ পাসপোর্টের কপি সংগ্রহ করত: ই-মেইল (dsbudget@molwa.gov.bd) এ প্রেরণ করতে হবে। এ সুবিধা কেবল বিদেশে স্থায়ীভাবে বসবাসকারীদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে;
(ঝ) বার্ধক্যজনিত কারণে প্রতিনিয়ত মৃত্যুবরণকারী বীর মুক্তিযোদ্ধার ক্ষেত্রে “বীর মুক্তিযোদ্ধা সম্মানি ভাতা বিতরণ আদেশ ২০২০” অনুযায়ী প্রাধিকারপ্রাপ্ত সুবিধাভোগীগণের মধ্যে সম্মানি ভাতা বিতরণের লক্ষ্যে তাঁদের তথ্যাদি নিয়মিতভাবে MIS এ হালনাগাদকরণ করতে হবে; এবং
(ঞ) MIS এ ভুল তথ্য এন্ট্রি প্রদান করা হলে বা প্রাধিকার প্রাপ্ত ভাতাভোগী ভিন্ন অন্য কেউ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানি ভাতা প্রাপ্ত হলে সেক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট এন্ট্রি প্রদানকারী বা পে-রোল প্রস্তুতকারী/প্রেরণকারী কর্তৃপক্ষ দায়ী থাকবেন বিধায় সতর্কতার সাথে এ সংক্রান্ত কার্যক্রম সম্পাদন করতে হবে।
০২। এ প্রেক্ষিতে, উপরোক্ত নির্দেশনা যথাযথভাবে অনুসরণ করার জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।